দুপুর ১:৪৮ । শুক্রবার । ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ । ২৩শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি বার্তা
  5. খেলাধুলা
  6. খোলা কলাম
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. পর্যটন
  12. ফিচার
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মতামত

আজ নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ শুরু

pp
মে ৭, ২০২৫ ১০:১৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

Spread the love

পিপি ডেস্ক: নৌপথে বিগত বছরগুলোর তুলনায় গত বছর নৌদুর্ঘটনা কমেছে। আহত-নিহতের সংখ্যাও আগের চেয়ে কম। ঐ বছরে ৩৭টি নৌদুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত ও ১৯ জন আহত হয়েছেন। তবে নৌদুর্ঘটনা ও হতাহত কমলেও বন্ধ হয়নি বিশৃঙ্খলা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা আরও বেড়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর নৌবন্দরগুলোতে যে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, অনেক ঘাটে তা এখনো রয়েছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় রেজিস্ট্রেশনবিহীন বিপুলসংখ্যক বালুবাহী বাল্কহেড, স্পিডবোটসহ বিভিন্ন ধরনের নৌযান চলাচল করছে, যা ঝুঁকিপূর্ণ। নৌপথে পণ্য পরিবহনেও এক ধরনের অরাজক পরিস্থিতি চলছে। চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি জাহাজ থেকে অভ্যন্তরীণ নৌযানে মালামাল লোড করার ক্ষেত্রে সিরিয়াল মানছেন না অনেক প্রভাবশালী শিল্প মালিক ও ব্যবসায়ীরা। আবার নির্ধারিত সময়ে পণ্য আনলোড না করে শত শত নৌযানকে ভাসমান গুদাম হিসেবে ব্যবহার করছেন তারা। এতে একদিকে বাজারে কৃত্রিম পণ্যসংকট তৈরি হচ্ছে, অপরদিকে অলস বসে থাকায় লোকসান গুনছেন পণ্যবাহী নৌযানের মালিকরা। এসব নিয়ে সাধারণ নৌযান মালিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এসব বিষয় জানিয়ে সরকারকে দফায় দফায় চিঠি দিয়ে আসছে নৌযান মালিক সংগঠনগুলো। এমন পরিস্থিতিতে আজ শুরু হচ্ছে ‘নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ’। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘দূষণমুক্ত নদী ও নিরাপদ নৌযান, সুস্থ থাকবে পরিবেশ, রক্ষা হবে প্রাণ’।

নৌ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সরকারি সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ‘নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ’ উপলক্ষে মঙ্গলবার দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশে যাতায়াত এবং পণ্য পরিবহনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম নদী ও নৌযান। সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব এই পরিবহন ব্যবস্থা দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন, পণ্য পরিবহনে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ছিল, তা এখন আর নেই। অনুমতিপ্রাপ্ত লাইটার জাহাজের মাধ্যমে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরসমূহের পণ্য পরিবহন নীতিমালা প্রণয়ন করেছি। তবে জাহাজে পণ্য মজুতের প্রবণতা এখনো রয়েছে। তিনি বলেন, অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ী তাদের ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত পণ্য আমদানি করে এবং তা মাসের পর মাস জাহাজে সংরক্ষণ করে। জাহাজকে তারা ভাসমান গুদামে রূপান্তর করে। এর বিরুদ্ধেও আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নৌখাতে বিদ্যমান সমস্যার বিষয়ে তিনি বলেন, পণ্যবাহী নৌযানের মালিকরা তাদের ভাড়ার টাকা ঠিকমতো না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সেগুলো সমাধান করা হচ্ছে। অনিবন্ধিত নৌযান চলাচলের বিষয়ে তিনি বলেন, জনবল সংকটের কারণে সবসময় অভিযান চালানো যায় না। এছাড়া ছোট নৌযান নিবন্ধনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নীতিমালা বাস্তবভিত্তিক নয়।

জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন) এ কে এম আরিফ উদ্দিন বলেন, যাত্রীদের কাছ নির্ধারিত হারে ঘাটের প্রবেশ ফি নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া আছে। প্রতিটি ঘাট ইজারা দেওয়ার সময়ে ইজারাদারের বরাদ্দপত্রে উন্মুক্ত স্থানে শুল্কহার টানানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। অনেকেই এই নির্দেশনা মানে না। এ কারণে আমরা নিজেদের থেকেই এই শুল্কহার টানানোর উদ্যোগ নিয়েছি। এছাড়া কোথাও যাত্রী হয়রানির অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পার্লামেন্ট প্রতিদিন/ এমআর

Design & Developed by: BD IT HOST