পিপি ডেস্ক: ইসলামী ব্যাংক যত ঋণ বিতরণ করেছে তার অর্ধেকের বেশি টাকা সাত বছর ধরে এস আলম গ্রুপই নিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ব্যাংকের সদ্য নিযুক্ত চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। যেসব সম্পদ বন্ধক দেওয়া আছে, এসব সম্পদের দাম বেশি দেখিয়ে ঋণ বের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকের ঋণের বিপরীতে বন্ধক দেওয়া হয়নি, এস আলম গ্রুপের এমন সম্পদের খোঁজ নিতে আইন মন্ত্রণালয়ের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। এসব সম্পদ খুঁজে পাওয়ার পর তা ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় এখন ‘প্রাণ খুলে’ কথা বলতে পারছেন বলে মন্তব্য করেন ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংকটির নতুন পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভা হয়। ওই সভা শেষে চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ব্যাংকের পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।
ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, ২০২২ সাল থেকে ব্যাংকে তারল্যসংকট শুরু হয়। এখন ব্যাংকের গ্রাহক, প্রবাসী আয় পাঠানো গ্রাহক, শেয়ারধারী ও বিদেশি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান—কেউই ব্যাংকের ওপর আস্থা পাচ্ছেন না। এ জন্য ব্যাংকের প্রকৃত অবস্থা যাচাইয়ে তিনটি নিরীক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা ব্যাংকের ঋণ, বিনিয়োগ ও মানবসম্পদের ওপর নিরীক্ষা করবে। আগে ভালো নিরীক্ষা হয়নি, তাই আজ ব্যাংকের এই পরিণতি।
অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, জানতে চাইলে ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, ব্যাংকের টাকা ভিন্ন খাতে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। নিচের দিকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তবে দুষ্ট কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পরিস্থিতি উত্তরণে বাংলাদেশ ব্যাংক সহায়তা করবে বলেও জানান তিনি।
২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয় এস আলম গ্রুপ। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের ছেলে আহসানুল আলম। ব্যাংকটির ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা। নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে ব্যাংকটি থেকে প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকা একাই বের করে নিয়েছে এস আলম গ্রুপ।
পিপি /এমটি /০৫০৯২৪