রাত ৩:৫৮ । শুক্রবার । ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ । ২৩শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি বার্তা
  5. খেলাধুলা
  6. খোলা কলাম
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. পর্যটন
  12. ফিচার
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মতামত

অধ্যক্ষকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেয়া হলো 

pp
সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৪ ১০:৩৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

Spread the love

পিপি ডেস্ক: অধ্যক্ষকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুন্দী ইউনিয়নে অবস্থিত নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমানের পদত্যাগপত্রে সই করানো হয় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে কলেজে এ ঘটনা ঘটে। জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

সালথার ইউএনও মো. আনিচুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে সন্ত্রাসী কায়দায় অধ্যক্ষকে মারধর ও তার কাছ থেকে জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান কলেজে যোগদানের পর থেকে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের দোসর হিসেবে দুর্নীতি-অনিয়ম করে আসছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমর্থন না করে কলেজের ছাত্রদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি করেছিলেন। স্বৈরাচারের পতনের পর থেকে আমরা এই দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। মানববন্ধনও করেছি।

অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ও তার ছেলে কলেজে প্রবেশ করার সময় স্থানীয় প্রভাবশালী কাইয়ুম মোল্লা ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য কামরুল গাজীর সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা তাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে একটি বাগানের ভেতর নিয়ে যান। সেখানে তারা আমাকে ও আমার ছেলেকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। পরে কিছু অছাত্র আর কিছু ছাত্রদের দিয়ে জোর করে আমার কাছ থেকে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেন। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই এবং হামলাকারীদের বিচার দাবি করছি।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য কামরুল গাজী বলেন, আমি ওই সময়ে ফরিদপুর ছিলাম। এসব বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। অধ্যক্ষ শুধু শুধু আমার নামে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন।

কাইয়ুম মোল্লা বলেন, এই এলাকা দুই ভাগে বিভক্ত। এক অংশের নেতৃত্ব দেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রউফ। আরেক অংশের নেতৃত্ব দেন তিনি নিজে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ওই অধ্যক্ষ তার (কাইয়ুম) সমর্থিত ছাত্রদের নাম পুলিশের কাছে দিয়ে হয়রানি করেছেন। তার কর্মফল হিসেবে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

Design & Developed by: BD IT HOST