স্পোর্টস ডেস্ক: অবশেষে অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে ‘সিলেট এক্সপ্রেস’ খ্যাত ইবাদত হোসেনের। লম্বা পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার পর মাঠে নামার অপেক্ষায় তিনি। আসন্ন ভারত সফরে দলের সঙ্গে থাকবেন বলেও জানিয়েছেন এই পেসার।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন ইবাদত। এ সময় নিজের পুনর্বাসন প্রক্রিয়াসহ মাঠে ফেরা নিয়ে কথা বলেন, ‘আমাকে হয়তো ভারত সফরে দলের সঙ্গে নেওয়া হবে। সেখানে বোলিং সাপোর্টটা পাব, ডাক্তার, ফিজিও, ট্রেনার…সব সাপোর্ট পাব। বাংলাদেশ দলের মনিটরিংয়ে থাকবো। এ জন্যই হয়তো আমাকে নিয়ে যাবে। সেখানে গিয়ে আমার ফিটনেস পরীক্ষা করে দেখবে, এরপর সিদ্ধান্ত নেবে।’
গত বছরের জুলাইয়ে আফগানিস্তান সিরিজে ইনজুরিতে পড়েন ইবাদত। আগস্টের শেষে হাঁটুতে অপারেশন হয়। খেলতে পারেননি ভারতে অনুষ্ঠিত ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। যেটিকে বড় ক্ষতি হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এরপর চলে গেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও। কিন্তু ইবাদতের ফেরা হয়নি।
‘অবশ্যই আফসোস হয়। আমি ১৩ মাস খেলার বাইরে। এমন একটা চোটে পড়েছি, সুস্থ হতে অনেক লম্বা সময় নিয়েছে। খেলোয়াড় হিসেবে বাইরে থাকা অনেক কষ্টের। মনে হয় না বেশীদিন লাগবে সুস্থ হতে। আমিও খেলব। ভালো করার চেষ্টা করব’-মাঠে ফিরতে না পেরে আফসোসের কথাও বলেন ইবাদত।
এখনো ইবাদত শতভাগ দিয়ে বোলিং করছেন না, ‘আমাকে ফিজিও, ট্রেনার ও ফাস্ট বোলিং কোচ যে প্রোগ্রাম দিয়েছেন, সেটা ফলো করছি। এখনো ১০০% এফোর্ট দিয়ে বোলিং করার পারমিশন দেয়নি। আমি ৭০-৮০%, এরকম কাছাকাছি এফোর্টে কাজ করছি।’
‘ফিটনেসটা ওইভাবে যদি উন্নতি হয়, ম্যানেজম্যান্ট যদি সন্তুষ্ট হয়, যদি ওইখানে খেলিয়ে দেয়, তাহলে খেললাম। যদি না হয় তাহলে আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট আছে, সেগুলো খেলব’-আরও যোগ করেন ইবাদত।
১৫ সেপ্টেম্বর ভারতের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবে বাংলাদেশ। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে সিরিজ। এই সফরে দুটি টেস্ট ও ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ২০টি টেস্ট, ১২টি ওয়ানডে ও ৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন সিলেটের এই পেসার। উইকেট নিয়েছেন যথাক্রমে ৪২টি, ২২টি ও ৭টি। নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে ফাইফার নিয়ে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান।