এডভোকেট রফিকুল আহসান:
চট্টগ্রাম মুসলিম হাইস্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক, এম সিরাজ- উদ- দৌলা’র ৩০ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। একজন আদর্শ শিক্ষকের প্রতিকৃতি A good mother is better than hundred schoolmasters but a schoolmaster is far better than hundred fathers. এই কথাগুলো দিয়েই এম সিরাজ- উদ- দৌলা তাঁর “জীবন স্মৃতি” লেখা শুরু করেছেন। যাঁর কথা লিখছি, তিনি হলেন চট্টগ্রাম সরকারী মুসলিম হাই স্কুলের দীর্ঘদিনের শিক্ষক এম সিরাজ- উদ- দৌলা।
তিনি ১৯২৬ সালের পহেলা জানুয়ারী কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া থানার মুরালিয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম সাঁচি মিয়া মাতবর। ছয় ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি মেজ ছেলে। স্থানীয় বিদ্যালয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীনে / সিলেবাসে ১৯৪৪ সালে ম্যাট্রিকুলেশান পরীক্ষায় অবতীর্ণ হন। ম্যাট্রিক পরীক্ষার পর অবসরের তিন মাস তিনি নিজের স্কুল কুতুবদিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে অবৈতনিক শিক্ষক হিসেবে চাকুরী করেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ওই সময়ের জন্যে খুশি হয়ে তাঁকে বারো টাকা বকশিশ দেন।
ম্যাট্রিক পরীক্ষার রেজাল্টের পর, মাত্র আঠারো বছর বয়সে, জীবনের প্রথম চাকুরী হিসেবে বাঁশখালী থানার চাম্বল হাই স্কুলে যোগদান করেন। এটা তাঁর জীবনের প্রথম পূর্ণ বেতনের চাকুরী, মাসে চল্লিশ টাকা। ১৯৪৫ সালে উচ্চতর পড়াশোনার জন্যে স্কুলের চাকুরীতে সাময়িক ইস্তফা দিয়ে চট্টগ্রাম শহরে চলে আসেন। চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ১৯৪৭ সালে অংকে লেটার মার্কস নিয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। ১৯৪৯ সালে চট্টগ্রাম সরকারী কমার্স কলেজ থেকে ( ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ) বি কম পাস করেন। ১৯৫০ সালে তিনি আবার চাম্বল হাই স্কুলে ফিরে যান। এবার ওই স্কুলকে ঢেলে সাজাবার জন্যে তখনকার স্কুল সেক্রেটারি হামিদ আলী চৌধুরী জনাব সিরাজ- উদ- দৌলাকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেন।
একনাগাড়ে দীর্ঘ আট বছর বাঁশখালী চাম্বল হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের পর, ১৯৫৮ সালে বাঁশখালী সরল আমিরিয়া হাইস্কুলে প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। শিক্ষকতা পেশায় অধিকতর দক্ষতা অর্জনের উদ্দেশ্যে, ১৯৫৯ সালে বিএড পড়তে রাজশাহী শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজে ভর্তির আবেদন করেন। ‘তিনি কমার্সের ছাত্র’- এই অজুহাতে কর্তৃপক্ষ প্রথমে তাঁর আবেদনপত্র বাতিল করেন। ঐ বাতিলকৃত আবেদন নিয়ে তিনি সশরীরে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সামনে হাজির হন। অনেক যুক্তি- তর্কের পরে, ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়াতে কর্তৃপক্ষ তাঁকে ভর্তি করতে বাধ্য হন। সূদুর চট্টগ্রামের ছেলে হিসেবে আঞ্চলিকতার হাজারো প্রতিকুলতাকে অতিক্রম করে তিনি সেখানে চুড়ান্ত পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন।
উল্লেখ্য, তিনিই বাংলাদেশে প্রথম বিএডধারী কমার্স গ্র্যাজুয়েট। ‘ব্যাচেলার অব এডুকেশান’ পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের কারণে, কয়েকদিনের মধ্যেই ‘ইন্সপেক্টর অব স্কুলস’ ( চট্টগ্রাম ) নিজেই জনাব সিরাজ- উদ- দৌলাকে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া ও রামগতি থানার সাব- ইন্সপেক্টর অব স্কুলস পদে নিয়োগ দেন। এরপর উখিয়া (১৯৬১), ফটিকছড়ি (১৯৬২-‘৬৩), সাতকানিয়া (১৯৬৪), প্রভৃতি থানায় থানা শিক্ষা অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তিতে নানা কারণে ‘থানা শিক্ষা অফিসার’ পদের চেয়ে সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতাকে অধিকতর ভালো মনে করে, ১৯৬৪ সালের শেষের দিকে চট্টগ্রাম সরকারী মুসলিম হাই স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। মূলতঃ এই স্কুলেই তিনি জীবনের মুল্যবান সময় অতিক্রম করেন।
একজন মেধাবী, অভিজ্ঞ ও আদর্শ শিক্ষক হিসেবে তিনি প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেন। এখানে দীর্ঘ আঠারো বছর শিক্ষকতা জীবনে, নিজের মেধা বিকাশের এবং ব্যাপক পরিচিতি গড়ে তোলার যথেষ্ট সুযোগ পান। ফলে ১৯৬৭ সালে সরাসরি ব্রিটিশ সরকারের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতামূলক কমনওয়েলথ স্কলারশীপ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং পৃথিবীবিখ্যাত লণ্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা বিষয়ে প্রায় দু’বছরের উন্নততর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং টিচার্স সার্টিফিকেট ইন এডূকেশন ( টিসিই ) ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি সেখানকার বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত শিক্ষা বিষয়ক সেমিনারে তৎকালীন পাকিস্তান তথা ভারতীয় উপমহাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার রূপরেখা তুলে ধরেন। ফেরার পথে জেনেভা, কায়রো, ইস্তাম্বুল, বুলগেরিয়া, করাচী, লাহোর, ইসলামাবাদের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরে শিক্ষা বিষয়ক সেমিনারে বক্তৃতা দেন। তিনি সাফল্যের সাথে কমনওয়েলথ স্কলারশীপ শেষ করে, ১৯৬৯ সালে দেশে ফিরে আসেন।
সিরাজ- উদ- দৌলা তাঁর আত্মজীবনী “জীবন স্মৃতি”তে, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটটা বর্ণনা করছেন এভাবে,- ‘২৫ মার্চ, ১৯৭১, আমি সরকারী মুসলিম হাই স্কুলের ছাত্রাবাসে আছি, এমতাবস্থায়, রাতে হায়েনার দল এসে দরজা ভেঙ্গে রুমের ভিতর হতে আমার লণ্ডনের গার্নেট কলেজের একটা দীর্ঘ ফটো, যাহাতে আমরা সকল ছাত্র- ছাত্রী একসঙ্গে একটা ফটো’তে বাঁধা, লইয়া গিয়াছে। পরদিন সকালবেলা জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করিয়া আমি শুধুমাত্র আমার রিভলবার সঙ্গে করিয়া, কর্ণফুলী নদী পার হইয়া, দক্ষিণ কূলে গিয়া, পায়ে হেঁটে পটিয়া চলে যাই। সেখানে পথিমধ্যে রেডিওতে স্বাধীনতার ঘোষণা শুনিতেছি। মনে হ’ল, আমরা স্বাধীনতার জন্য প্রাণপণ লড়াইতে নেমে গেছি। পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক জান্তা এদেশের আনাচে- কানাচে যত বুদ্ধিজীবি ও ধন- সম্পদ আছে সবই লুন্ঠন করতে শুরু করিয়াছে। আমি কোন প্রকারে জান ও মাল লইয়া কক্সবাজার পৌঁছি। পথিমধ্যে অনেক বিপদ- আপদের সম্মুখীন হইয়াছি। ভাই সাহেব আবু ছালেহ’র বাড়ির দিকে যাওয়ার পথে নদীতে ঝাঁপ দিয়া পার হয়ে চলে যাই। পর দিবস কক্সবাজার এসে, কক্সবাজারের বাসার সকল মূল্যবান সম্পদ ছোট ভাই মছলেহ উদ্দিন- এর বাসায় রেখে পরিবার- পরিজন সবাইকে নিয়া আমি ( সাম্পানযোগে ) কুতুবদিয়া চলে গেলাম। এর কয়েকদিন পরে, ১৯৭১ সালের ১৫ ই মে আমার পরম শ্রদ্ধেয় মা- জান সকলের উপস্থিতিতে শোক সাগরে ফেলিয়া ইহজগত ত্যাগ করলেন।
সেই রাত্রিতে পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর লোক আমাদের বাড়িঘর লুঠ করবে শুনে খুব ভোরে আমি এবং আমার ছোট ভাই মছলেহ উদ্দিন স্রোতের প্রতিকূলে দাঁড় বাহিয়া পেকুয়া নানার বাড়িতে আশ্রয় নিলাম। এক সপ্তাহ পর খবর হলো, সকল সরকারী কর্মচারীকে অতি সত্বর কাজে যোগদান করিতে হইবে। চাকুরী রক্ষার্থে ছোটভাই মছলেহ উদ্দিনকে নানাবাড়ি পেকুয়াতে রাখিয়া, আমি পেকুয়া থেকে হেঁটে জলদী গিয়ে টেক্সিযোগে চাঁদপুর ধরিলাম। পেছনে হিন্দুদের ঘরবাড়ি জ্বলতেছে দেখে মন কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল। কর্ণফুলী নদীর পাড়ে এসে আমার এক বন্ধুর বাড়িতে রাত কাটালাম এবং সব খবরা- খবর সংগ্রহ করে, খুব সকালে নদী পার হয়ে মুসলিম হাইস্কুলে চলে গেলাম। এইভাবে নয়মাস কেটে গেলো।
একদিন হঠাৎ ২রা ডিসেম্বর, ১৯৭১, শহরের উপরে ভারতীয় প্লেন দেখা গেল। মাঝে মাঝে রাত ১২ টার পর মশারীর ভিতর গোপনে মুজিবনগরের রেডিওর শব্দ পাইতাম। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী স্টিমারে মূল্যবান জিনিসপত্র লইয়া স্বদেশের দিকে ধাবিত ও পশ্চাদপসারণ করিল। ৫ই ডিসেম্বর বোমার ভয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম শহর ত্যাগ করলাম। পথে দেখলাম, মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে রাজাকারদের প্রচণ্ড গোলাগুলি। ১৬ই ডিসেম্বর পাক বাহিনী আত্মসমর্পণ করিল। সেই দিনই আমি দোহাজারী হয়ে ট্রেনযোগে চট্টগ্রাম শহরে চলে আসলাম। দেখলাম, চরিত্রহীণ ও নারীজাতির প্রতি অত্যাচারীর ফল। বেঈমানেরা বাঙ্গালীর হাতে প্রাণ দিল। কি পাশবিক অত্যাচার তাহারা এদেশের মাটিতে অবস্থান করিয়া চালাইয়াছে, তাহা ভাবিলে শরীর মন- মানসিকতা খারাপ হয়ে যায়। ত্রিশ লক্ষ মানুষের রক্তের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা। কত বুদ্ধিজীবি, জ্ঞানী ব্যক্তি, আইনজীবি ও জনসাধারণ ইহাতে প্রাণ দিয়াছে, তার ইতিহাস জানা দরকার। ধ্বংসস্তুপের উপর বাংলাদেশের ভিত্তি রচনা করা হ’ল। বধ্যভূমিতে কত মা- বোনের জীবন আত্মাহূতি দিতে হয়েছে, তাহা ভাবিলে বিস্মিত হইতে হয়।’
সিরাজ- উদ- দৌলা তাঁর ধর্মীয় জীবন সম্পর্কে লিখেছেন, ‘আল্লাহ তা’লা যাহা করেছেন, তাহা মঙ্গলের জন্যই। সৎভাবে, নিরলস চেষ্টায় ও অক্লান্ত পরিশ্রমে যাহা পাওয়ার, তাহা সবই আমি পাইয়াছি। কোটি শোকরিয়া আল্লাহ তাহালার। বদভ্যাস করি নাই। খুন- খারাবী, ঘুষ, সুদ ভোগ করিতে হয় নাই। চরিত্রকে আদর্শবান করার আপ্রাণ চেষ্টা চালাইয়াছি। রাহমত হইতে বঞ্চিত হই নাই। আল্লাহ তাহালা ক্ষমাশীল, দয়ালু ও সূক্ষ্মদর্শী। তিনি ইচ্ছা প্রকাশ করিলে ও হুকুম দিলে ‘হও’- হইয়া যায়।’
সিরাজ- উদ- দৌলা ১৯৫৪ সালে জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করেন। ওই বছর ১৪ ই এপ্রিল, তিনি কুতুবদিয়ার বিখ্যাত জমিদার, তৎকালীন কুতুবদিয়া ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট তমিজ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী ( তজু মিয়া ) এর সেজ মেয়ে শামসুন নাহার চৌধুরী’র সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি পাঁচ পুত্র ও তিন কন্যা সন্তানের জনক।
নিজের স্ত্রী ও পারিবারিক জীবন সম্পর্কে তিনি তাঁর আত্মজীবনী, ‘জীবন-স্মৃতি’তে লিখছেন, ‘আমি বাহিরের কাজ সমাপ্ত করিতে করিতে জীবন বিসর্জন দিয়াছি আর আমার স্ত্রী সংসার- সম্পদ রক্ষা করিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাইয়াছে, ছেলে- মেয়েদের জীবন গড়ে তোলার ব্যাপারে তার অবদান অনস্বীকার্য। গৃহিণীরূপে তাহার ভূমিকা অনুকরণীয়। গরীবের প্রতি দয়া ছিল, সাহায্য চাহিলে কাহাকেও সহজে ফেরত দেয় নাই। কিন্তু অসৎ প্রকৃতির লোকদের জন্য ছিল কঠোর। পরের দুঃখে অনায়াসে বিগলিত হইত। কিন্তু অন্তর ছিল মহৎ, কৃপণতা তাহাকে ধরতে পারে নাই। ঘর- বাড়ীর সুন্দরের প্রতি আকর্ষণ ছিল, সাহস ছিল অগাধ।’
সিরাজ- উদ- দৌলা তাঁর সুদীর্ঘ কর্মজীবনে বাঁশখালী চাম্বল হাইস্কুলে (১৯৪৪-‘৫৬) প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক, বাঁশখালী সরল আমিরিয়া হাইস্কুলে (১৯৫৭-‘৫৯) প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক, চট্টগ্রাম সরকারী মুসলিম হাইস্কুলে (১৯৬৪-‘৮২), গোবিন্দপুর সরকারী হাইস্কুলে (১৯৮২), কক্সবাজার সরকারী বয়েজ হাইস্কুলে (১৯৮৩-‘৮৪), কক্সবাজার সরকারী গার্লস হাইস্কুলে (১৯৮৪), বান্দরবান সরকারী হাইস্কুলে (১৯৮৫-‘৮৬) শিক্ষকতা করেন। অবসর জীবনের প্রথমে রাউজান কচুখাইন মিয়া-আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে (১৯৮৭) প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক এবং পরে চট্টগ্রাম পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয়ে (১৯৮৮-‘৯০) প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এই কীর্তিমান পুরুষ মৃত্যুবরণ করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গবেষণা/প্রবন্ধসমূহ হলোঃ-
* বিলাতের চিঠি, ১৯৬৮, লন্ডন জীবনের উপর ভিত্তি করে।
* A visit to a Zoo, ১৯৬৯, বিশ্ববিখ্যাত চিড়িয়াখানা Whipsnade নিয়ে।
* How to help the grown-up children, ১৯৭০, শিশু মনস্তত্ত্ব বিষয়ে।
* In the light of planning, ১৯৭৮, বিভিন্ন দেশের শিক্ষাব্যবস্থার তুলনা।
* Rohinga refugee in Bangladesh, ১৯৯২, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে।
* So-called Shantibahini, ১৯৯২, বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিবাহিনী’র তৎপরতার উপর ভিত্তি করে।
* জীবন স্মৃতি, ১৯৯৪ ।
মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত লিখিত তাঁর মূল্যবান আত্মজীবনী ‘জীবন স্মৃতি’-তে তিনি লিখেছেন,- ‘I owe to my father for my life but to a teacher how to live worthily.’
সূত্রঃ লেখকের প্রকাশিতব্য একজন আইনজীবীর আত্মজীবনী ‘জীবন, জীবিকা ও জীবনসংগী’/’The Life, Livelihood & Better-half-LLB’ থেকে।
লেখক: আইনজীবী।
পিপি /আরটি