দুপুর ১:২৮ । বৃহস্পতিবার । ৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ । ২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি বার্তা
  5. খেলাধুলা
  6. খোলা কলাম
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. পর্যটন
  12. ফিচার
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মতামত

প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূস’র প্রতি জরুরী বার্তা

pp
এপ্রিল ২৫, ২০২৫ ১২:২৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

Spread the love

এম.এম. মুনিরুল মন্নান আল-কুতুবী আল-মাদানী: 

মহান আল্লাহ্ তা’আলা কর্তৃক তৈরীকৃত কুতুবদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দর কালবিলম্ব না করে ঘোষণা দিয়ে কাজ শুরু করুন। (বন্দরের নামে যাবতীয় রাষ্ট্রীয় অপচয় থেকে বিরত থাকি)। যাবতীয় সকল প্রশংসা ঐ আল্লাহ যিনি নিমিষেই সাগরকে নগর এবং আধুনিক চাকচিক্যময় শহরকে সাগরে পরিণত করতে পারেন। যার ইশারায় মুহুর্তের মধ্যে কোলাহলময় সম্প্রদায়কে মাটির অতল তলে পুঁতে রেখেছেন এবং উপরি ভাগকে মৃত ও লবণাক্ত সাগরে পরিণত করে পর্যটকদের আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট বানিয়ে ঐতিহাসিক শিক্ষণীয় অঞ্চলে পরিণত করেছেন। সাথে সাথে সচেতন বিশ্ববাসীরা জেনে গেছেন যে, সমকামিতা (পুরুষে পুরুষে) জৈবিক চাহিদা মিটানো কত যে ভয়ানক অপরাধ, পাপ কাজ কেয়ামত পর্যন্ত শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে। মানব ইতিহাসের সর্ব প্রথম সমকামিতার প্রচলন হয়েছিল হযরত লুত (আ.) এর সম্প্রদায় হতে, সুতরাং তাদের ভয়ানক শাস্তি হয়েছিল এটা বর্তমান জর্ডানে অবস্থিত ডেথ-সী বা মৃত সাগর নামে পরিচিত। বর্তমান বিশ্বে আমরা সভ্যজাতি হিসেবে অভিশপ্ত সমকামিতা যেন ঘৃণা ভরে পরিত্যাগ করি।

আসলে ইতিহাস ঘাটলে আমরা জানতে পারি যে, শঙ্খ নদীর পাড় থেকে দক্ষিণে কক্সবাজারের রামু পর্যন্ত এক কালে বিশাল বঙ্গোপসাগর বিস্তৃত ছিল। যেমন ৪০০/৫০০ বৎসর পূর্বে কুতুবদিয়া দ্বীপের অস্তীত্বই ছিল না। আনোয়ারা, বাঁশখালী ও চকরিয়ার পশ্চিমাঞ্চল সাগরের চর ও প্যারাবনে আচ্ছাদিত ছিল। তৎকালীন একজন পশ্চিমা ঐতিহাসিক লিখেছেন যে, শঙ্খ নদীর দক্ষিণে রামু পর্যন্ত শুধু সাগরই ছিল। চকরিয়া, বাঁশখালীর পাহাড় ও টিলা ব্যতীত সবই বঙ্গ বৃটিশ শাসন আমলে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে বড় জাহাজ আকিয়াব-রেঙ্গুন পর্যন্ত চলাচল করতো। কালের গতি প্রকৃতির ফলে এসব হচ্ছে ও হতে বাধ্য। আগামী ৫০ বৎসর পরে একই পথে ঐ রকম জাহাজ চলাচল করা চলবে না। কারণ নদী পথের নাব্যতা নেই, সাগরের বিভিন্ন এলাকায় চর ডুবো চর উঠে গেছে। এককালে চট্টগ্রামের অর্ধেকাংশই সাগর ছিল। যেমন- বাকলিয়া এলাকা সাগর ছিল পরে চরাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। যেমন আমাদের চট্টগ্রাম শহরের কেন্দ্রস্থল কোলাহল পূর্ণ  বসতি শোলক বহর। শোলক বহর আসলে ‘সুলুকুল বাহার’ ছিল অর্থাৎ জাহাজ চলাচলের সাগর পথ সুতরাং শোলক বহর মানে সাগরপথ, ঐতিহাসিকদের মতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে চট্টগ্রামের নীচু এলাকাই সাগর ছিল। যেমন ডাংগার চর, লক্ষ্যার চর, চর ফরিদ, চর খিজির, ইত্যাদি এলাকা। চট্টগ্রাম শহরের কেন্দ্রস্থল ঘাটফরহাদ বেগ, রোম ঘাটা, পাথর ঘাটা ইত্যাদি নাম ও স্থান সমূহ। এককালে গভীর সমুদ্র ছিল তাই প্রমাণ করে। যেমন কক্সবাজারের কন্তুরাঘাট এখন কোথায়? কেউ ভাবতেও পারবেনা যে, এককালে এখানে বড় বড় জাহাজ নোঙ্গর করত।

সুতরাং কুতুবদিয়া চ্যানেল ঘিরে আধুনিক বাংলাদেশের বৃহত্তম গভীর সমুদ্র বন্দর গড়ে উঠা এখন দৃশ্যমান ও সময়ের ব্যাপার মাত্র।  কারণ এই মহাকর্মযজ্ঞময় বৃহত্তম ও বিশ্ব বিখ্যাত গভীর বন্দর সৃষ্টির ব্যাপারে আমার আব্বাজান হজরতুল আল্লামা শাহ্ আব্দুল মালেক আল কুতুবী মুহিউদ্দীন আজমী সম্রাট অলী উল্লাহ ইশারা ইঙ্গিতও দিয়েছেন।

আমরা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আকীদাগত মতাদর্শী খাঁটি অলী গণের উপর আল্লাহ’র তরফ থেকে ইলহামী জ্ঞান কলবের উপর ঢেলে দেয়া হয় যাদ্ধারা অলীগণ উপলদ্ধি করতে পারেন। এ ছাড়াও অলীগণ আল্লাহর নূরের দৃষ্টিতে দেখে থাকেন। তাঁরা যা দেখেন আমরা সাধারণ লোক তা দেখতে পাই না। যেমন বলা হয় “ইত্যাকু ফিরাছাতাল মোমেনীন ফাইন্নাহুম ইয়ানজুরুনা বিনুরিল্লাহি” অর্থাৎ তোমরা আউলিয়াদের আধ্যাত্মিক জ্ঞান চুক্ষকে ভয় করো। কেননা তাঁরা আল্লাহ প্রদত্ত নুরের জ্যোতিতে অবলোকন করে থাকেন। সুতরাং আউলিয়াদের দেখা ও কথা আমাদের সাথে কখনো তুলনা মানদণ্ডে আসেনা। তাঁদের কথা মন্তব্যই হাকীকত।

৫০/৬০ বৎসর পূর্বে আব্বাজান কুতুবদিয়া সর্ম্পকে যা যা বলে গেছেন এখন তা বাস্তবে রূপ নিয়েছে। কুতুবদিয়ার সর্ব উত্তরে একটি ব্রীজের কথা আব্বাজান শতবার বলেছেন, ব্রীজটির নাম কুতুবদিয়া খাটখাঁলী ব্রীজ যা বাঁশখালীর সাথে লাগানো। ব্রীজটি হয়ে গেলে কুতুবদিয়া চ্যানেলের উভয় পাড়ে ৩০/৪০টি মাদার ভেসেল নোঙ্গর করতে পারবে এবং ভারী মালামাল লোড করতে সহজ হবে।

সুতরাং বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী বাঙ্গালী মায়ের গর্ভের গৌরব ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে আন্তরিক দোয়া জানিয়ে বললে চাই, আপনি আমার লিখাটি গভীরভাবে উপলদ্ধি করুন এবং আল্লাহর অলীর ইলহামী নির্দেশনা মাথায় রেখে যাবতীয় অহেতুক অপচয় বন্ধ করে বিশেষ করে বর্তমান বন্দরের নব্যতার উৎকর্ষের নামে খনন কাজের অপচয়, মংলা বন্দরের খনন কাজের টাকার অপচয় এবং পায়রা বন্দরের যাবতীয় অপচয় বন্ধ করে কুতুবদিয়া চ্যানেলকে একমাত্র গভীর সমুদ্র বন্দর মনে করে কাজের গতি বাড়িয়ে দিন, ইনশাআল্লাহ অতিসত্বর পূর্ণাঙ্গ বন্দর হয়ে যাবে।

আমি কেন শুধু কুতুবদিয়া চ্যানেলকেই গভীর সমুদ্র বন্দর হিসেবে প্রাধান্য দিচ্ছি?
কারণ গুলো নিম্মে দেওয়া হল:

১. আমার বাবাজান কেবলা একজন আল্লাহর ওলী এবং গভীর জ্ঞানের (শরীয়ত) অধিকারী ছিলেন। তার ইলহামী ইশারা ইঙ্গিত, যেমন: কুতুবদিয়া শহর হবে, কুতুবদিয়ার চারিদিকে জোনাকী পোকার ন্যায় জাহাজের আলো মিট মিট করবে।

২. আমার একজন আত্মীয়, সর্ম্পকের মামা হন। তাঁর নাম নাজের কুতুবী। তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের একজন উঁচু মাপের  অফিসার(হাইডোগ্রাফার) ছিলেন। তিনি চাকুরীরত অবস্থায় জাপান থেকে ট্রেনিং নিয়ে এসেছিলেন। সমুদ্র বন্দর সর্ম্পকে গভীর জ্ঞানের অধিকারী, বন্দর বিশেষজ্ঞ, কুতুবদিয়া চ্যানলে সর্ম্পকে বহু কথা বলেছেন।

৩. কুতুবদিয়া চ্যানেলটি হলো গভীর বঙ্গোপসাগরের কিনারায়। অর্থাৎ কুতুবদিয়া চ্যানেলের সর্বদক্ষিণে গভীর মহেষখালী দ্বীপের পশ্চিমাংশ। সুতরাং ২লক্ষ ৩ লক্ষ টনের বড় মাদার ভেসেল অনায়াসে কুতুবদিয়া চ্যানেলে যাতায়াত করতে কোন অসুবিধা হবে না।

৪. মাদার ভেসেল কুতুবদিয়া চ্যানেলে যত্র তত্র চলাচল ও নোঙ্গর করার জন্য যত গভীরের দরকার ততই চ্যানেলটি গভীর করা যাবে। ১০০/২০০/৩০০ মিটারে গভীরতা যত দরকার স্বল্প সময়ে করা যাবে। খননযন্ত্র দ্বারা শুধুমাত্র জোয়ার পূর্ণ হলেই মেশিনটি চালু করলেই অমনি ভাটির টানে কাদামাটি ও ঘোলা মাটি একেবারে স্রোতের টানে মহেষখালী দ্বীপের পশ্চিমে বা দক্ষিণ পশ্চিমের গভীর বঙ্গোপসাগরে পতিত হবে।

৫. কুতুবদিয়া চ্যানেলটি নিছক একটি ছোট আকারের নদীনয় বরং এটি একটি সাগরের অংশ বটে। সুতরাং এটা অদূরভবিষ্যতে ভরাট হওয়ার আশঙ্খা নেই।

৬. জনাব নাজের কুতুবী বলেছিলেন যে, কোন জায়গায় বন্দর হতে হলে সামনে একটি পাথরের বাঁধ অবশ্যই থাকতে হবে। আল্লাহর শোকরিয়া কুতুবদিয়া দ্বীপই ঐ বাঁধের স্থলাভিসিক্ত হতে চলেছে। ঐ বাঁধের মূল্য আনুমানিক ২০/৩০ হাজার কোটি টাকা হবে।

৭. কুতুবদিয়া চ্যানেলে উভয় পাড়ে মাদার ভেসেল ভিড়ার সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান।

৮. কুতুবদিয়া চ্যানেলটার সব জায়গায় এটেল মাটি বা যে কোন জাহাজের জন্য সুবিধা কিন্তু বালি মিশ্রিত মাটি বা শুধু বালি জাহাজের জন্য মারাত্মক হুমকি। এ ব্যাপারে জনাব নাজের কুতুবী বলেছিলেন চ্যানেলের তলার মাটি হতে হবে মহিষের দইয়ের মত। এ রকম হলে জাহাজ চরে বা যে কোন জায়গায় আটকের আশংকা থাকেনা সুতরাং কুতুবদিয়া চ্যানেলের সব জায়গার মাটি এটেল মাটি।

৯. ফারাক্কা ও তিস্তার উজানে ভারত সরকার কর্তৃক অন্যায় ও একতরফা বাঁধ নিমার্ণেও ফলে পদ্মা ও বড় বড় নদীর স্রোত কমে যাওয়ার ফলে অধিকাংশ নদীর নাব্যতা হারিয়েছে যার ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন এলাকায় পলি জমতে শুরু হয়েছে যার ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগরে ডুবো চর উঠা শুরু হয়েছে। এটা কিন্তু বড় বড় জাহাজ চলাচলে মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হতে হচ্ছে এবং হাজার বছরের চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর জৌলুস হারাতে বসেছে। সুতরাং এখন মৃত পুত্র কোলে নিয়ে লাভ নেই। মৃত পুত্রের দাফন সম্পন্ন করে নুতন উদ্যোগ, উদ্দীপনায় ভবিষ্যৎ রঙিন স্বপ্নের দ্বার উম্মোচন করে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিখ্যাত ও বৃহত্তম গভীর সমুদ্র বন্দর কুতুবদিয়াকে স্বীকৃতি দান। এতে সারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চাকা বেগবান হবে ইনশাল্লাহ। অর্ন্তবর্তী কালীন সরকারকে অনুরোধ করে বলতে চাই, চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা বন্দরে খনন কার্য্য পরিচালনা করে কোটি কোটি টাকার অপচয় আর নয়। আমরা এখনো উন্নত দেশের কাতারে শামিল হতে পারিনি। বৈদেশিক ঋণ প্রতি নাগরিকের কাঁধে দিন দিন বাড়ছে। এক টাকার অপচয় আর না । যাবতীয় জুলুম অন্যায় অবিচার ও বৈষম্যের কবর রচনার দৃঢ় সংকল্পে হাজার হাজার আবাল বৃদ্ধ বণিতা অকাতরে প্রাণ দিয়েছে। শাহাদতের পেয়ালার অমীয় সুরা পান করে শহীদ হয়েছেন সুতরাং অন্তবর্তী কালীন সরকারের প্রতি বিনীত অনুরোধ রইল আর বিলম্ব, কালক্ষেপণ রাষ্ট্রীয় মহামুল্যবান অর্থের অপচয় নয়, কুতুবদিয়া চ্যানেলেই যাবতীয় বন্দরের কাজ শুরু করুন। বন্দরের রাজস্ব দিয়ে সারা বাংলাদেশের আর্থিক যাবতীয় চাকা স্বচল হবে ইনশাল্লাহ।

১০. কুতুবদিয়া চ্যানেলকে গভীর সমুদ্র বন্দর হিসেবে বেচে নেয়ার আর একটি মৌলিক কারণ হলো কুতুবদিয়া চ্যানেল যেহেতু কক্সবাজার জেলার অন্তর্ভূক্ত। কক্সবাজার জেলা মায়ানমারের সাথেই লাগানো। সুতরাং এশিয়ান হাইওয়ে বাংলাদেশের ভিতর হয়ে কক্সবাজারের রামু নাইক্ষংছড়ি সীমান্ত হয়ে দক্ষিণ চীনে সাংহাই পর্যন্ত এশিয়ান হাইওয়ে বিস্তৃত। এদিকে পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্যের পণ্য আনা নেওয়ার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রেলপথ মায়ানমার হয়ে থ্যাইল্যান্ড লাউস কম্বোডিয়া হয়ে সুদূর চীন পর্যন্ত বিস্তৃত হবে ইনশাল্লাহ। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে লেইট্যাস্ট কন্টেইনার হেন্ডলিং সংখ্যা সর্বোচ্চ পঞ্চাশ/ ষাট লক্ষাধিক উন্নীত হয়েছে। কিন্তু কুতুবদিয়া চ্যানেল যদি গভীর সমুদ্র বন্দর হয় ৩০/৪০টি মাদার ভেসেল দৈনিক মালামাল ও কন্টেইনার উঠা নামা করে ইন্শাল্লাহ বার্ষিক অন্তত দেড় থেকে দুই কোটি কন্টেইনার উঠানামা করতে পারবে।

১১. কুতুবদিয়া চ্যানেলকে গভীর সমুদ্র বন্দর হিসেবে নিদিষ্ট করার আর একটি কারণ হতে পারে যে মধ্যপ্রাচ্য ও সৌদি আবর থেকে বড় বড় জাহাজে (মাদার ভেসেল) লক্ষ লক্ষ টন বিশিষ্ট মাদার ভেসেল সরাসরি কুতুবদিয়া চ্যানেলে এসে ক্রড অয়েল খালাস করা সহজ হবে। যেহেতু এই চ্যানেলটি নদী নহে বরং বঙ্গোপসাগর। এই কুতুবদিয়া চ্যানেলের পূর্বাংশে পুঁইছড়ি এবং হারবাং এলাকায় উন্নত প্রযুক্তি সমৃদ্ধ তৈল শোধনাগার হতে পারবে।  বিশ্বের বিভিন্ন এলাকায় তৈল, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানী ও দাহ্য পদার্থ রপ্তানী করা যেতে পারে। সুতরাং কুতুবদিয়া চ্যানেল গভীর সমুদ্র বন্দর হলে পর্যটকের নয়নাভিরাম স্পট হবে ইনশাল্লাহ।

১২. বন্দর বিশেষজ্ঞ জনাব নাজের কুতুবী বলেছেন যে, আমেরিকান স্যাটেলাইট কর্তৃক পাওয়া খবরের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিনে গুরুত্বপূর্ণ সংবাদে বলা হয়েছে যে, এই অঞ্চলে একমাত্র কুতুবদিয়া চ্যানেলেই গভীর সমুদ্র বন্দর করা যাবে আর কোথাও পারা যাবে না। ম্যাগাজিনটি কোন সালের কোন তারিখের তা জানা যায়নি। সুতরাং আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিনের খবর গুরুত্বপূর্ণ।

১৩. বিশ্ব ব্যাংকের জরিপেও বলা হয়েছে যে, একমাত্র কুতুবদিয়া চ্যানেলে গভীর সমুদ্র বন্দর হতে পারবে।

১৪. কুতুবদিয়া চ্যানেলকে গভীর সমুদ্র বন্দর হিসেবে বেঁছে নেওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে আমি মনে করি যে, কুতুবদিয়া চ্যানেলের অদূরবর্তী এলাকা যেমন পুঁইছড়ি, হারবাং এলাকায় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম তৈল শোধনাগার স্থাপন করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শোধনকৃত তৈল রপ্তানী করা যাবে, এতে বাংলাদেশে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যাবে । কুতুবদিয়া চ্যানেলে নোঙরকৃত বিরাট মাদার ভেসেল তেলের ট্যাংকার থেকে সরাসরি আন্ডারগ্রাউন্ড পাইপ স্থাপন করে তৈল শোধনাগারে নেওয়া যেতে পারে।

১৫. চ্যানেল হতে পাইপ দিয়ে নিকটবর্তী হারবাং ও পুঁইছড়িতে তৈলের বিশাল আকৃতির তৈলাধার তৈরি করে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় পাইপ বসিয়ে শহর বন্দরের আনাচে কানাছে তৈল সাপ্লাই দেওয়া যাবে । এতে ট্রান্সপোর্ট ভাড়া কমে যাবে, জনগণের দূর্ভোগ কমিয়ে আনা যাবে ।

১৬. যেহেতু কুতুবদিয়া চ্যানেল হতে সরারসি মাদার ভেসেলের তৈলের ট্যাংকার হতে পাইপ দিয়ে মাত্র ৯/১০ কিলোমিটার দুরত্বে আপদকালীন তৈলাধার স্থাপন করা যাবে। তৈলাধারটি বিশাল আকারের হবে, এটাকে আপদকালীন তৈলাধার বলা যাবে, কেননা ঐ তৈল বিপদের সময় ব্যবহার করা যাবে। যেমন: সাইক্লোন, জলোচ্ছাস এবং বন্যার সময় ব্যবহার করা হবে । আপদকালীন তৈলাধার পুঁইছড়ি ও হারবাংয়ের পাহাড়ী এলাকায় করা যাবে । এতে শতশত আন্ডারগ্রাউন্ড কূপ খনন করা যাবে। এটাকে আপদকালীন তৈল মৌজুদাগারও বলা যাবে।

১৭. আমদানী রপ্তানী বাড়াতে হলে সমুদ্র সংশ্লিষ্ট বন্দরের বিকল্প নেই। তাই কুতুবদিয়া চ্যানেলই একমাত্র গভীর সমুদ্র বন্দর হতে পারে। বাংলাদেশের আর কোথাও এরকম জায়গা নেই।

১৮. বিগত ১১/০২/২০২৫ইং তারিখের দৈনিক আজাদী পত্রিকার সংবাদে বলা হয়েছে কুতুবদিয়ার বহিনোঙ্গওে ১৩টি মাদার ভেসেল থেকে লাইটারেজের অভাবে বিভিন্ন মালামালও গুরুত্বপূর্ণ পণ্য খালাস করা যাচ্ছে না। কুতুবদয়িা চ্যানেল গভীর সমুদ্র বন্দর হলে এই অবস্থার কখনো সৃষ্টি হতো না। সুতরাং সরকার বাহাদুরকে একান্ত অনুরোধ করে বলছি যে, প্রাকৃতিক তৈরী বন্দর আমাদেরকে হাতছানি দিয়ে বলছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কুতুবদিয়া চ্যানেলে গভীর সমুদ্র বন্দর উদ্বোধন করে উন্নত দেশের কাতারে শামিল হউন।

১৯. কুতুবদিয়া চ্যানেল গভীর সমুদ্র বন্দর হলে ভারী ভারী শিল্প কারখানা পটিয়া, আনোয়ারা, কর্ণফুলী, বাঁশখালী, চকরিয়া, কক্সবাজার, সাতকানিয়া, কুতুবদিয়া এবং মহেশখালীতে অতিদ্রুত শিল্পাঞ্চলে পরিণত হবে ইনশাআল্লাহ। কারণ ভারীশিল্প কারখানা ভারী ভারী যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ, বিবিধ পণ্য স্বল্প সময়ে ভাড়ায় শিপমেন্ট করতে সহজ হবে। সুতরাং আশা করা যায় অদূরভবিষ্যতে কুতুবদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দর হতে মাননীয় সরকার মহোদয়ের সদিচ্ছার একান্ত দরকার। যত তাড়াতাড়ি বন্দরে পরিণত করতে পারবে ততই দেশ ও জাতি অর্থনৈতিক মুক্তি পাবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ পাক সমস্ত মানুষের অন্তর ফিরানো একমাত্র মালিক। তাই মুনীবের কাছে আরজি পেশ করছি, আল্লাহ যেন আমাদের শাসকদের বিবেক সঠিক পথে পরিচালিত করেন। আমীন, ছুম্মা আমীন।    (পর্ব ১) চলমান……

লেখক: এম.এম. মুনিরুল মন্নান আল-কুতুবী আল-মাদানী, বড় শাহজাদা কুতুব শরীফ দরবার, কুতুবদিয়া, কক্সবাজার।  সাবেক মুহাদ্দিস, দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসা, চট্টগ্রাম।

পার্লামেন্ট প্রতিদিন/ এমআর

Design & Developed by: BD IT HOST