দুপুর ২:৫০ । বৃহস্পতিবার । ৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ । ২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি বার্তা
  5. খেলাধুলা
  6. খোলা কলাম
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. পর্যটন
  12. ফিচার
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মতামত

বিশ্বনাথে ৩০০ বছর পুরনো পলো-উৎসব

pp
জানুয়ারি ১৫, ২০২৫ ১১:১৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

Spread the love

সিলেট প্রতিনিধি: প্রবাসী অধ্যুষিত বিশ্বনাথে গ্রাম-বাংলার শতাধিক বছরের আদি উৎসব পলো-বাওয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোয়াহরি বিলে দীর্ঘ প্রায় আড়াই শতাধিক বছরের পুরনো, পলো-বাওয়া উৎসব পালিত হয়।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) গোয়াহরি দক্ষিণের বিল (আটরবিল) নামকস্থানে মাঘ মাসের ১ তারিখ শুরু হয় পলো-বাওয়া উৎসব। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে দুপুর দেরটায় শেষ হয়। প্রতি বছরের মতো এবারো দেশ ও বিদেশ থেকে শৌখিন মাছ শিকারিরা শখ পূরণ করতেই এমন আয়োজন করেছেন। সৌখিন মাছ শিকারিরা যেন জপজপ আওয়াজে পানিতে সুর তুলছেন মাছ শিকারে। প্রতি বছরের মতো এবারো উৎসবের মধ্য দিয়েই জানান দিল পুরনো সংস্কৃতি পলো-বাওয়া। এমন শিকার যেন বাউৎ উৎসবে পরিণত হয়।

পলো-বাওয়া উৎসবে যোগ দিতে লন্ডন থেকে ষাটোর্ধ্ব ও প্রবীণ মুরব্বি আব্দুল রফিক, মনোহর আলী, ফয়জুল হক, আলম খানসহ ইউরোপ ও আরব-আমিরাত থেকে অনেকেই দেশে আসছেন। আনন্দময় এ উৎসবে জুয়ান থেকে বুড়া সব বয়সের শতশত মানুষ যোগ দেন। কারো হাতে পলো, ছিটকি জাল, ফেলাইন জাল নিয়ে যোগ দেন উৎসবে।

শৌখিন মাছ শিকারি লন্ডন প্রবাসী ও প্রবীণ মুরব্বি ফয়জুল হক বলেন, প্রতি বছর এই সময়টায় দেশে আসি পলো-বাওয়া উৎসবে যোগ দিতে। আমাদের বাবা চাচাদের আগের ঐতিহ্য ধরে রাখতে ও শৌখিনতায় মাছ শিকার করতে দেশে আসছি। বিলের চতুর্দিকে নানা বয়সের উৎসুক নারী-পুরুষসহ শিশু-কিশোররা মাছ শিকার দেখতে আসছেন।

গোয়াহরি বিলে এই দিনটার জন্যই কেউ পূর্ব থেকে মাছ শিকার করে না। অনেকেই বলেন, আগের মতই এখন আর বোয়াল মাছ পাওয়া যায় না তেমন। একসময়ে হাওরে অনেক পানি থাকতো, খাল-বিল এখন আর তেমন নাই। দখলে আর দুষনে সব বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বিল হয়ে গেছে দখলি বড়াট ভূমি। পলো-বাওয়া শেষে ভাগ্যবান অনেকেই হাসিমুখে শিকার করা নানান প্রজাতির মাছ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।

পিপি/ইটি

Design & Developed by: BD IT HOST