বিশেষ প্রতিবেদক: থানায় গিয়েও প্রতিকার পাইনি। আর এক দফা হামলা হলো তাঁর পরিবারের উপর। আজ বুধবার ১১.৯.২৪ইং বিকালে থানায় অভিযোগ করার কারণে আর এক দফা হামলা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিকার কিংবা আইনি সহায়তা না পাওয়ায় এখন নিরাপত্তাহীনতায় পুরো পরিবার। এই মুহুর্ত্বে পরিবারটি সেনাবাহিনীর সাহায্য চাই বলে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, গতকাল ১০ সেপ্টম্বর মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৯.০০ দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। গতমঙ্গলবার ও বুধবার কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানার দুলালপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের শফিউল বাদশা শিপন ও শিপনের পরিবারে উপর দুই দফা হামলা হয়েছে। উক্ত ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী করলেও কোন প্রতিকার কিংবা নিরাপত্তা পাইনি পরিবারটি। নিরাপত্তা না পাওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার স ম আজহারুল ইসলামের কাছে নিরাপত্তা চাইলে তিনিও নাকি নিরাপত্তা দিতে পারেনাই।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভয়াবহ বন্যার সময় দুলালপুর ইউনিয়নে শফিউল বাদশা শিপন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ত্রাণ এনে বানভাসি মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়। এই বানভাসি মানুষদের রান্না করে খাওয়ানোসহ এলাকার বিভিন্ন মানুষ জড়িত থাকে। বন্যার মধ্যে ত্রাণ বিতরণ ও দুই বাড়ী চলাচল করার জন্য ঢাকা থেকে এডভোকেট নুরুল হুদা ও আরিফুল হক ভুইয়া নৌকা দিয়েছিল। সেই নৌকা দিয়ে তওহিদ (২৫), পিতা- দুলাল মিয়া, সজিব মিয়া (২৫), পিতা- মোবারক হোসেন, আরিফ হোসেন (২২), পিতা- আলীম মিয়া, মুজাহিদ (২০), পিতা- দুলাল মিয়া, বাছির (২০) এলাকার মানুষকে পারাপার না করে রাতের আধারে ভিন্ন এলাকা থেকে নারী এনে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকে বলে অভিযোগ আছে।
ত্রাণ বিতরণের সময় অনেক ত্রাণ বিতরণ না করে চুরি করে রেখে দেয়। মঙ্গল ও বুধবারে ত্রাণ গুলো স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে গেলে স্থানীয় দোকান রশিদ মেম্বার ও শাহআলম , সেলিম ত্রাণ কিনে নিতে অপরগতা প্রকাশ করে। এতে বাছির গং এর লোকেরা সন্দেহ করে শফিউল বাদশা শিপন তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। যার কারণে আমরা ত্রাণ বিক্রি করতে পারতেছি না । এলাকায় মেয়ে নিয়ে এসে অবৈধ কাজ আর করতে পারতেছি না।
গত মঙ্গলবার শিপনের বাবা হাজী আবুল কাশেম এলাকার মানুষের চলাচলের জন্য দুলালপুর উত্তর পাড়া মানুষের চলাচলের জন্য বাঁশের সাঁকোটি তৈরী করার সময় বাজার থেকে সংবাদ আছে তার ভাইকে তওহিদ ও বাছির গং এর লোকজন মারধর করতেছে। এই সংবাদ শুনার পর সবাই সাঁকোর কাজ তাড়াতাড়ি শেষ করে বাজারে গেলে তাদের উপর একই এলাকার তাওহিদ (২৫), পিতা- দুলাল মিয়া, সজিব মিয়া (২৫), পিতা- মোবারক হোসেন, আরিফ হোসেন (২২), পিতা- আলীম মিয়া, খোরশেদ আলম (৩৫), পিতা- সহিদ মিয়া, মুজাহিদ (২০), পিতা- দুলাল মিয়া, বাছির (২০), পিতা- কাজল মিয়া হামলা করে।
হামলার শিকার হয়ে শফিউল বাদশা শিপন, পিতা-আবুল কাশেম, আলমগীর হোসেন, পিতা- আবুল কাশেম, হান্নান মিয়া পিতা- তারা মিয়া, মান্নান মিয়া, পিতা তারা মিয়া, তারা মিয়া, পিতা মৃত আবদুল মতিন, সাইফুল ইসলাম, পিতা মৃত আবদৃুল কাদের, রিয়াদ হোসেন পিতা- ইউসুফ, আনোয়ার হোসেন পিতা-মৃত আবদৃল মান্নান, নজরুল ইসলাম পিতা- জহির মিয়া, আবুল কাশেম পিতা- মৃত আবদুল বারেক, শাকিব, পিতা মো. আলী, কাউছার মিয়া পিতা আবদুল কুদ্দুছ, আবুল কাশেম, পিতা-মৃত আবদুল মান্নান, মো. আলী, পিতা- মৃত শাহজাহান প্রমুখ আহত হয়।
এই বিষয়ে দুলালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান ভূইয়া রিপন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
এই বিষয়ে শফিউল বাদশা শিপনের ভাই জাহাঙ্গীরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা এখন স্বপরিবারে নিরাপত্তহীনতায় ভূগছি। উপজেলা ও থানা প্রশাসন তদন্ত করে সঠিক আইনানুগ ব্যবস্থা করবে এটাই প্রত্যাশা করছি।