খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাতে শিক্ষার্থীদের গণপিটুনিতে শিক্ষক নিহত ও সংঘটিত সহিংস ঘটনায় ৪সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় ১৪৪ধারা প্রত্যাহারের করেছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসন।
গতকালে(১লা অক্টোবর) সহিংসতার পর বুধবার(২রা অক্টোবর) সকালে খাগড়াছড়ি শহরের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান ও পুলিশ সুপার মো: আরেফিন জুয়েল। তবে পুলিশ, আর্মড পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী টহল জোরদার করা হয়েছে।
অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে খাগড়াছড়ি শহরের পরিস্থিতি। বুধবার বেলা তিনটার দিকে পৌর এলাকা থেকে মাইকিং করে ১৪৪ধারা প্রত্যাহার করেছে প্রশাসন। শহরের বিভিন্ন সড়কে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। নানা কাজে লোকজনও ঘর থেকে বের হচ্ছেন।
ধর্ষনের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হলেও শিক্ষার্থীরা বলছে, তাকে ধর্ষণ করা হয়নি, আবার অনেকে দুষ্ট প্রকৃতি শিক্ষক ধর্ষন করেছেন। ধর্ষনের আলামতও পেয়েছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন।
বিএনপির দাবী আওয়ামীলীগ পরিকল্পিতভাবে পাহাড়ে সহিংসতা সৃষ্টি করে সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছে।
বুধবার সকাল থেকে খাগড়াছড়ি শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। সকালে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোয় অল্প কিছু যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে পানছড়ি-খাগড়াছড়ি ও দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি সড়কে যানবাহন চলাচল করেনি।
গতকাল এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে(৪৮) পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার জের ধরে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে খাগড়াছড়ি পৌর এলাকায় ১৪৪ধারা জারি করে প্রশাসন। এ সময় সদরের মহাজনপাড়া, পানখাইয়াপাড়া সড়কের চাইহ্লাউ পাড়ার কয়েকটি দোকান ও একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ভাঙচুর করা হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সহিংসতার জেরে দোকানপাটে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। ক্ষতিগ্রস্ত হলেন-মহাজন পাড়ার তৃপ্তি হোটেল এন্ড রেস্টোরেন্ট, কিসলয় টি স্টল, সৌম্য ফ্যাশন, ভিশন বিকাশ ইলেক্ট্রনিক্্র, প্যারী মোহন হোমিওপ্যাথিক ফার্মেসী, ফেন্ডস ক্লাবের বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যান ট্রাষ্ট, সাংবাগি শপ, ফারিম ষ্টোর, মনটুক টপ কালেশন,স্বপন ষ্টোর, অমর ষ্টোর, গ্রীন লাইনম্যান অফিস, মোনসারা টপ কালেকশন, একটা মোটরসসহ ৩২টি দোকান পাঠ ভাংচুর, লুটপাট ও আগুন দেওয়া হয়।
পানখাইয়া পাড়া সড়কে চাইহ্লাউ পাড়ার-ষ্টার্ম হোম বিউিটি, জয়া কালেশন, জউ চীবর স্টোর, মঘ্যা দোকান, মামাছেন বিউটি পার্লার, ছেনখিন বিউটি পার্লার, খিংখিং বিউটি পার্লার, দি রয়েল মাইক এন্ড সাউন্ড সার্ভিস, মোনালিসা বিউটি পার্লার, খাগড়াছড়ি স্পেশালাইজড ট্রিটমেন্ট সেন্টারসহ ৩৫টি দোকান, বৌদ্ধমর্তি ভাংচুর,লুটপাট ও আগুন দেয়। এসময় ১টি মোটর সাইেকেল, ১টি ফ্রিকআফ জীপ গাড়ি পড়ে আছে।
এ সময় দুই প্রশাসনের কর্মকর্তা জানান, ঘটনায় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ধর্ষণ ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করতে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দ্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০২১সালে শিক্ষক সোহেল রানার বিরুদ্ধে এক পাহাড়ি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা করেছিল। ওই ছাত্রী আদালতে এসে পাহাড়ি একটি সংগঠনের চাপে মামলা করেছে মর্মে সাক্ষ্য দিলে সোহেল রানা খালাস পান এবং চাকরিতে যোগদান করেন। এর পর থেকে শিক্ষক সোহেল রানাকে প্রত্য্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিল পাহাড়ি ছাত্রছাত্রীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, নিহত সোহেল রানা খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন ও সেফটি বিভাগের চিফ ইনস্ট্রাক্টর ছিলেন। প্রতিষ্ঠানটি সদরের খেজুরবাগান এলাকায় অবস্থিত। ২০২১সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি একই প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে সোহেল রানা কিছুদিন কারাগারে ছিলেন। একই প্রতিষ্ঠানে তিনি যেন আবার যোগদান করতে না পারেন, সেই দাবি তুলে শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি বিক্ষোভ করেছিল। এরপর গতকাল আবার তাঁর বিরুদ্ধে অপর এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।
পানখাইয়া পাড়া সড়কে ক্ষতিগ্রস্ত ষ্টার্ম হোম বিউটি শপ মালিক সাগরিকা ত্রিপুরা জানান, ৪টার পরে দোকান বন্ধ করে চলে যায়। বাজার থেকে এসে টোকাই ছেলেরা লুটপাট করে জিনিস পত্র রাস্তায় বাইরে রেখে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ক্ষতি হয়েছে লক্ষাধিক টাকা।
জউ চীবর ষ্টোরের মালিক জমউ রাখাইন জানান, ছোট-বড় ১৫টি উপরে বৌদ্ধ মুর্তি রাস্তায় রেখে জালিয়ে দিয়েছে। ১৭টি চীবরসহ সব জিনিস পত্র নিয়ে যায়। ক্ষতি ১২লক্ষাধিক টাকা বেশী হবে।
খাগড়াছড়ি স্পেশালাইজড ট্রিটমেন্ট সেন্টারের ম্যানাজার পারবেশ ইসলাম জানান, বাজার দিক থেকে দুস্কৃতিকারীরা দা, কিড়িস, রড় নিয়ে হামলা-তান্ডব চালিয়ে ১ কোটি টাকার পরিমানে হাসাপাতালের জিনিস পত্র ভাংচুর, লুটপাট করে আগুন দিয়েছে।
খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক এড জসিম উদ্দিন মজুমদার জানান, ১০দিনের ব্যবদানে সম্প্রিিত নস্ট হয়ে ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট কারীদের আইনের সোপর্দ করার আহবান জানান। হামলাকারীদের গ্রেফতার ও তীব্র নিন্দা জানান।
খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার জানান, ভীতিকর পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে মঙ্গলবার রাতে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূইয়ার পক্ষ থেকে কোন উস্কানীতে পা না দিয়ে পাহাড়ি-বাঙালী সবাইকে নিরাপদে বাড়ীতে থাকার আহবান জানিয়ে মাইকিং করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামীলীগের উগ্র পাহাড়ি ও বাঙালিদের অংশটি পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর পায়তারা করছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধা বলেন, এ ঘটনায় সদর থানায় দুটি মামলা করা হয়েছে। একটি ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, অপরটি পুলিশের ওপর হামলার মামলা। ধর্ষণ মামলাটি করেছেন ঘটনার শিকার ছাত্রীর মা। অপর মামলার বাদী পুলিশ।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান বলেন, সকালে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানপাট পরিদর্শন করেছেন প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ১৪৪ধারা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান। তিনি আরো বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কারণে বেলা ৩টার সময় ১৪৪ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরোফিন জুয়েল বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোয় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবারের সহিংসতার ঘটনায় খাগড়াছড়ি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রোজলিনা সহিদ চৌধুরীকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা ও ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় সদর থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে সোহেল রানা নামের দাগী লম্পটের হাতে এক ছাত্রী ধর্ষণকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানো, দোকানপাট পুড়ে দেয়া ও গুরুতর জখম-হতাহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে হিল উইমেন্স ফেডারেশন(এইচডব্লিউএফ), পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ।
গত মঙ্গলবার(১লা অক্টোবর ২০২৪) হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি কণিকা দেওয়ান সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, খাগড়াছড়িতে আজকের ঘটনার জন্য প্রশাসন কোন অবস্থাতেই দায় এড়াতে পারে না।
বিবৃতিতে নেত্রীদ্বয় বলেন, খাগড়াছড়ি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা গেল ৫ই সেপ্টেম্বর ধর্ষক সোহেল রানাকে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে পুনঃ নিয়োগের প্রতিবাদ জানিয়ে মিছিল করে। ইতিপূর্বে কুষ্টিয়ায় থাকাকালে তার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের গুরুতর অভিযোগ ছিল, সাজাস্বরূপ তাকে বদলী করা হয়। গত ২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০২১সালে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে সোহেল রানা এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের(পাহাড়ি-বাঙালি) প্রবল প্রতিবাদের মুখে তার সাজা হয়। পরে সাজামুক্ত হয়ে একই প্রতিষ্ঠানে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে পুনঃ নিয়োগ লাভ করলে তার প্রতিবাদে আবারও সাধারণ শিক্ষার্থীরা ডিসি বরাবর স্মারকলিপি দেয়। তা সত্ত্বেও তাকে পুনঃ নিয়োগ দেয়া হয়।
খাগড়াছড়িতে মংগলবার ১লা অক্টোবর প্রথম দিকে দাগী লম্পট সোহেল রানার ছাত্রী ধর্ষণের বিরুদ্ধে পাহাড়ি-বাঙালি সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ জানিযেছে, তাদের মধ্যে কোন সাম্প্রদায়িক বিভেদও কাজ করেনি বলে নারী নেত্রীদ্বয় বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন।
বিবৃতিতে নারী নেত্রীদ্বয় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর সাথে সেনা মোতায়েনের সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। হিল উইমেন্স ফেডারেশন’র সদস্য এন্টি চাকমা স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার একই প্রতিষ্ঠানের ৮ম শ্রেণির ত্রিপুরা এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এনে পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ইন্সট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনার জেরে শহরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। চলে সংর্ঘষ, ভাংচুর, লোটপাত ও অগ্নিসংযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিকেল ৩টা থেকে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ও পৌর শহরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন। কিন্তু তা সত্ত্বেও সন্ধ্যা পরও শহরের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন ভাবে সংঘষের ঘটনা ঘটে। একদল দুর্বৃত্ত সন্ধ্যার পরও ভাংচুর ও লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে রাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের পর পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।
আরো উল্লেখ্য, গত বুধবার(১৮ই সেপ্টেম্বর) সকালে খাগড়াছড়ি জেলা সদরে ফার্নিচার ব্যবসায়ী মো: মামুনকে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার জেরে সহিংসতায় ছড়িয়ে পড়ে। দীঘিনালায় অর্ধশতাধিক দোকানপাটে আগুন, স্বণির্ভরে সেনাবাহিনীর গুলিবর্ষণের ঘটনা অভিযোগ। এতে সহিংসতায় খাগড়াছড়িতে ৩জন ও রাঙামাটি একজনসহ ৪জন নিহত হয়।
আলোচিত ফার্নিচার ব্যবসায়ী মামুন হত্যাকান্ডে এক বিএনপি নেতা, সাবেক মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় ৩জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত নামা ১০/১২জন পাহাড়ি ও বাঙালিকে আসামি করে মামলা হয়েছে। তার রেশ না না কাটতে পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের পিটুনিতে প্রাণ হারালো শিক্ষক সোহেল রানা।
খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে পাহাড়িদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা, খুন ও বিহার-ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিযেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)। এছাড়া দলটি ঢাকায় বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতার আয়োজিত সমাবেশ থেকে ঘোষিত তিন পার্বত্য জেলায়(রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) ৭২ঘন্টা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন জানিয়ে শান্তিপুর্নভাবে পালন করা হয়েছিল।
এরপর অশান্ত হয়ে ওঠে পাহাড়। যার জেরে পরবর্তীতে পার্বত্য চট্টগ্রামের দুই জেলায়(খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি) ১৪৪ধারা জারি করে প্রশাসন।
পিপি/ এসএম/ আরটি