বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে একটি সংঘবদ্ধ চক্র যমুনার পূর্ব পাড়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ড্রেজার বসিয়ে লাখ লাখ ঘনফুট বালি অবৈধভাবে উত্তোলন করে বিক্রি করলেও অজ্ঞাত কারণে তা প্রশাসনের নজরে পড়েছে না। উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের চর ঘাগুয়া পয়েন্ট ও বেড়া পাঁচবাড়ি পয়েন্টে কয়েক লাখ ঘন ফুট উত্তোলিত বালু মজুত করে বিক্রি করা হচ্ছে। গত ৫ আগস্ট সরকারের পতন হলে ঐ বালুখেকো চক্র বালুর পয়েন্ট ফেলে গা ঢাকা দিয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, চরঘাগুয়া ও বেড়াপাঁচবাড়ি পয়েন্টে বিশাল বালুর স্তূপ রয়েছে। এলাকার লোকজন জানান, কাজলা ইউনিয়নের এক নেতা এবং মাদারগঞ্জ উপজেলার এক প্রভাবশালী নেতা যৌথভাবে ঐ বালি উত্তোলন করছিলেন।
জানা গেছে, চর ঘাগুয়া থেকে কর্নিবাড়ি ইউনিয়নের ডাকাতমারা ঘাট পর্যন্ত ৬ শো কোটি টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ যমুনার বামতীর সংরক্ষণ কাজ চলমান রয়েছে। এই পয়েন্ট থেকে অবৈধ এবং অপরিকল্পিত বালি উত্তোলন করায় প্রকল্পের কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
কাজলার ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, বালু নিলামের অর্থ বন্যার্তদের দান করার জন্য ইউএনওকে পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু কী কারণে বলি জব্দ হচ্ছে না, তা আমার বোধগম্য নয়।
সারিয়াকান্দির ইউএনও বলেন, আমাকে অনেক সংস্থার দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। তাছাড়া নদীর পূর্ব তীরে দুর্গম পথ হওয়ায় সার্বক্ষণিক তদারকি করা সম্ভব হয় না। এত দিনেও অবৈধ বালি জব্দ হয়নি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, নতুন এসি ল্যান্ড যোগদান করবেন। তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বালি জব্দ করবেন।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মেজবাউল করিমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইত্তেফাকে বলেন, আমি ইউএনওর সঙ্গে যোগাযোগ করছি।