সকাল ৭:৫২ । মঙ্গলবার । ২২শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ । ৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি বার্তা
  5. খেলাধুলা
  6. খোলা কলাম
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. পর্যটন
  12. ফিচার
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মতামত

বিষখালির ভাঙনে দিশেহারা নলছিটিবাসী

pp
সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫ ৫:৫৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

Spread the love

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার বিষখালি নদীর ভাঙনে কয়েকটি গ্রাম শতভাগ বিলীন হওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছে। দীর্ঘদিনের অব্যাহত ভাঙনে উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নের রাজাবাড়িয়া, ইসলামাবাদ, বৈশাখিয়া ও হদুয়া গ্রামের বাসিন্দারা ভাঙন আতংকে দিন পার করছেন।

বর্ষায় ভাঙনের তীব্রতা কয়েকগুন বেড়েছে। এরইমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে হদুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল হক সিকদার বলেন, “ছোটবেলা থেকে নদীভাঙন দেখছি। এই পাড় ভাঙে, ওই পাড়ে চর পড়ে। এভাবে হারাতে হারাতে এখন আমরা নিঃস্ব। বসতবাড়ি, জমিজমা সব হারিয়েছি। আমাদের গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা সরাসরি নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অনেকেই গ্রামের অন্যত্র ঘর তৈরি করেছেন আবার অনেকে গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে গেছেন। আমি নিজেও কয়েকবার বসতঘর পরিবর্তন করেও ভাঙন থেকে রেহাই পাচ্ছি না। এখন যদি কর্তৃপক্ষ ভাঙন রোধে কোন পদক্ষেপ নেয়, তাহলে হয়তো বাকি পরিবারগুলো রক্ষা পাবে।”

বৈশাখিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. খলিল সরদার বলেন, “আমাদের হদুয়া দরবার শরীফের মূল স্থাপনা অনেক আগেই নদীতে বিলীন হয়েছে। হদুয়া দরবার শরীফ শুধু আমাদের ঝালকাঠি জেলা না, পুরো বাংলাদেশেই অন্যতম একটি প্রসিদ্ধ স্থান হিসেবে পরিচিত। এখন যেটুকু আংশিক আছে সেটুকুও হুমকির মুখে। সেখানে একটি চারতলা বিশিষ্ট কামিল মাদ্রাসা ভবন রয়েছে, যা এখন নদীতে বিলীন হওয়ার আশংকায় আছে। সেখানে শতশত শিক্ষার্থী ইসলামিক শিক্ষা গ্রহণ করে। ভবনটির কিছু হলে তাদের শিক্ষা জীবনের তার প্রভাব পড়বে। তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবি, এসব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষায় যেন যথাযথ পদক্ষেপ নেয়।”

অপর বাসিন্দা মো. মজিদ সিকদার বলেন, “পঞ্চাশ বছর আগে বাবার বাড়ি নদীতে চলে গেছে। তারপর নদীর তীর থেকে দূরে গিয়ে বাড়ি করেছিলাম, সেটাও হারিয়েছি। এখন আরো পিছনে গিয়ে কোনমতে একটা ঘর করেছি। সেটাও এখন ভাঙনের মুখে আছে। যে কোনো সময় নদীতে বিলীন হয়ে আবারও গৃহহীন হওয়ার আশংকায় রয়েছি।”

তিনি আরো বলেন, “কয়েকবছর আগে বেড়িবাঁধ নদীতে ভেঙে যায় এরপর থেকেই একটু জোয়ার এলেই নদীর তীরবর্তী বাড়িঘর ও ফসলি জমি জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। এ নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যথা নেই। কৃষকের ফসল তলিয়ে যাওয়ায় প্রায় প্রতি বছরই কৃষক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। একটি বেড়িবাঁধ থাকলে কৃষকরা তাদের ফসল নিয়ে চিন্তামুক্ত থাকতে পারতেন।”

ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা বলেন, “আমাদের একটি দল ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। আমরা দ্রুতই সরকারের কাছে চাহিদা পাঠাব। আর যতদ্রুত সম্ভব বাঁধ পুনরায় নির্মাণ করাসহ ভাঙন রোধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

পার্লামেন্ট প্রতিদিন/ এমআর

Design & Developed by: BD IT HOST