চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি-হাটহাজারী সীমান্তবর্তী দরবারে মুসাবিয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দিনভর ওরশ চলছে। এতে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় সংঘর্ষের আশঙ্কায় পুরো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ওরশকে কেন্দ্র গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ভক্ত-অনুরাগীরা মাজারে অবস্থান নেয়। মাজারের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ থাকলেও গোপন দরজা দিয়ে দরবারে প্রবেশ করে ভক্তরা মিলাদ ও ছেমায় অংশগ্রহণ করে। রবিবার দুপুরের পর ভক্তদের ভিড় বাড়তে থাকায় উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।
ওরশ বন্ধে অন্য পক্ষ বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে বাদানুবাদ শুরু হয়। শনিবার রাতে ভক্তরা গরু, ছাগল পশু মানত নিয়ে আসলে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে পুলিশের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়ানো গেছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে এলাকাজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মুসাবিয়ার দরবারের জমি নিয়ে ঔরশজাত দুই কন্যা-সাম-শুন নুরুল মুনির সিদ্দিকা ও হামিদুন্নেছার ওয়ারিশদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এই বিরোধের জের ধরেই আদালতের নির্দেশে ওরশ উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এ বছর আবারো গোপনে ওরশ উদযাপনের চেষ্টা করে একটি পক্ষ।
স্থানীয় সমাজপতি আলী আকবর বলেন, মুসাবিয়ার ওরশ ঘিরে বারবার উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নত হচ্ছে। প্রশাসন কড়া নজরদারি না রাখলে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটতে পারে।
ওই দরবারের পীর মুসাবিয়ার নাতি এস.এম মঈনুদ্দিন সিদ্দিকী বলেন, আমরা আদালতের নিষেধাজ্ঞা মেনে ওরশ বন্ধ রেখেছি৷ কিন্তু আমার খালার ওয়ারিশগণ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বহিরাগত লোকজনের সমাগম করে এলাকার পরিবেশ বিনষ্ট করছে। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে ওরশ উদযাপন করা পক্ষের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করলেও তারা কথা বলতে রাজি হন নি।
এ বিষয়ে হাটহাজারী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) তারেক আজিজ বলেন, ওরশ উদযাপনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নির্দেশনা ভঙ্গ করে কেউ আইন হাতে তুলে নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় যাতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না ঘটে, সেজন্য বাড়তি ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
পার্লামেন্ট প্রতিদিন/ এমআর