চট্টগ্রাম ব্যুরো: বিগত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা এলাকায় রাজনীতিবিদদের মধ্যে নানা ধরণের সমীকরণ শুরু হয়েছে। বিশেষ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে কে কিভাবে সংসদীয় আসনের সাংসদ প্রার্থী হবেন তা নিয়ে।
এখন দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রামে থাকা নেতা কর্মীদের মূল্যায়ন করার সময় এসেছে বলে বিজ্ঞ মহল মনেকরেন। এই পরিক্রমায় চট্টগ্রাম ১ আসন খুবই গুরুত্ববহন করে। দলের ক্রান্তিলগ্নে যে কয়েকজন নেতা বিএনপি’র হাল ধরে মাঠ গুছিয়ে রেখেছিল তাদের মধ্যে মিরসরাইয়ের নুরুল আমিন চেয়ারম্যান অন্যতম।
২০১৪ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের থেকে উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে দলকে উপহার দিয়েছিলেন মিরসরাই উপজেলা। তবে দলের পক্ষে থেকে বিরোধী শক্তির সাথে আপোষ না করাতে ১ বছরের মাথায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে বহিষ্কার করেছিলেন তৎকালীন আওয়ামী সরকার। শত বাঁধা আর নানা ধরণের চাপের মধ্যেও থেমে থাকেনি নুরুল আমিন চেয়ারম্যান।
আওয়ামী লীগের ভিআইপি প্রার্থী ও বর্ষিয়ান নেতা ইঞ্জিনিয়র মোশারেফ হোসেনের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে দিকহীন মিরসরাই বিএনপিকে দিয়েছিলেন আশার আলো। তারই ফলশ্রুতিতে বেগম খালেদা জিয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের মুকুট পড়িয়েছিলেন নুরুল আমিন চেয়ারম্যান কে।
দলীয় প্রচার করতে গিয়ে অনেক বার হামলা ও মামলার শিকার হয়েছেন। হামলা মামলার শিকার হওয়ার পরেও দলীয় নীতি আর্দশ থেকে বেরিয়ে আসেননি বলে জানা যায়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া উর রহমানের আর্দশ ধরে রেখে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে নানামুখী ভুমিকা রেখেছেন বলে তৃণমুল নেতাকর্মীদের কাছ থেকে জানা যায়। সুদীর্ঘ সময় ধরে দলের বিভিন্ন কর্মসূচীতে আর্থিক মানসিক এবং নিজেই উপস্থিত থেকে দল এগিয়ে নিতে দেখা গেছে। দীর্ঘদিন তৃণমুল নেতাকর্মীদের কাছে থাকার কারণে বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীদের তুলনায় নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের মিরসরাই হতে চট্টগ্রাম পর্যন্ত আলাদা একটা সুনাম আছে।
যা এলাকার বিএনপির অনুসারী ছাড়াও সাধারণ জনগণের মুখে শুনা যায়। মিরসরাইয়ের ১নং করেরহাট, ২নং হিঙগুলী, ৩নং জোরারগঞ্জ, ৪নং ধুম, ৫নং ওসমানপুর, ৬নং ইছাখালী,৭নং কাটাছড়া, ৮নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে নানা পেশার মানুষের সাথে আলাপকালে জানা যায় বিএনপি’র বিভিন্ন প্রার্থীর মধ্যে নুরুল আমিন চেয়ারম্যান সবার আগে।
আওয়ামী লীগ আমলে নুরুল আমিন চেয়ারম্যান বিএনপি থেকে উপজেলার চেয়ারম্যান হয়েছিল। এখনতো আওয়ামী লীগ নেই। এখন রাজনীতির পুরো মাঠই নুরুল আমি চেয়ারম্যানের পক্ষে বলে জানা যায়।
মিরসরাই এর জাতীয়তাবাদী শক্তির হ্যাভিওয়েট প্রার্থী নুরুল আমিন চেয়ারম্যান আশা করেন দল যদি তাকে মনোনয়ন দেয় তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে এলাকার জনগণের সেবাসহ বিএনপি’র রাজনীতিকে আরো উন্নত করবেন।
পার্লামেন্ট প্রতিদিন/ এমআর