বিকাল ৫:৩৭ । বৃহস্পতিবার । ৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ । ২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি বার্তা
  5. খেলাধুলা
  6. খোলা কলাম
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. পর্যটন
  12. ফিচার
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মতামত

নিরাপদ পৃথিবীর জন্য শিশুর সুষ্ঠু পরিবেশের বিকল্প নেই

pp
সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪ ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

Spread the love

মাহবুবুর রহমান: পৃথিবী শিশুদের জন্য। প্রত্যেক পিতা মাতা তার সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য নানা আয়োজন ও জীবন ধারণা এবং পরিশ্রম করেই যাচ্ছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। অথচ পৃথিবীতে শিশুরাই ভালো নেই। পারিবারিক, সামাজিক, আঞ্চলিক, জাতীয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও আধুনিক ইন্টারনেটে অবাধ তথ্য প্রবাহের অপব্যবহারের কারণে পৃথিবীতে শিশুরাই ভালো নেই। মানুষ আজ আত্মকেন্দ্রিক। মানুষ বিন্দু থেকে তার অবস্থান কখনো বৃত্তে ব্যাপ্তি করতে পারছে না। মানুষের নিজের তৈরী করা একটা অদৃশ্য দেয়ালের মাঝে মানুষ বন্দী হয়েই আছে। সেই দেয়াল ভেঙ্গে বাইরে আসা কখনো কি সম্ভব? সেই প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই।

প্রকৃতির আদি নিয়মেই সকলের আগমন। কেউ মায়ের উদর থেকে অট্টালিকা নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করেননি। সবাই উলঙ্গ হয়েই এসেছি। পৃথিবীতে এসেই শিশু এসেই শিশু পড়ে গেছে বিভাজনের মহাসমুদ্রে। পরিবেশ পারিবারিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক, রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক কারণে শিশু প্রকার ভেদ হয়ে উঠেছে। যেমন- কর্মজীবী শিশু, পথ শিশু, গৃহকর্মী শিশু, ঝঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশু, অটিস্টিক শিশু, দরিদ্র শিশু, যৌনকর্মী শিশু, পথ শিশু, গৃহহীন শিশু, ভিক্ষাবৃত্তি শিশু ইত্যাদি। এই সব কিছুর বিবেচনায় আসলে বিশ্বে শিশুরাই ভালো নেই।

যে শৈশব মা বাবা, দাদা দাদি, চাচা চাচি, মামা মামি, পাড়া প্রতিবেশীর সাথে হেসে খেলে, আনন্দ উল্লাসে, সীমাহীন আকাশে, সুউচ্চ পাহাড়ে, সুবিশাল সমুদ্রের স্বপ্ন চারণ করার কথা সে স্বপ্ন যেন স্বপ্নই থেকে গেছে আজ পৃথিবীর শিশুদের। প্রতিদিন সংবাদ মাধ্যমে ভেসে আসছে শিশু নির্যাতনের নানা চিত্র। পরিবার থেকে সমাজ, সমাজ থেকে আঞ্চলিক, আঞ্চলিক থেকে জাতীয়, জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক কোথাও শিশুরা ভালো নেই। প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হচ্ছে শিশুরা। শিক্ষা দীক্ষায় আগামীর জীবন গড়ার জন্য যে শিশু শিক্ষা অর্জনের জন্য শিক্ষা গ্রহণ করতে যাচ্ছে সেখানেও নিরাপদ নয় শিশুরা। প্রতি নিয়ত শিক্ষক কর্তৃক যৌন নির্যাতনের খবর কারো অজানা নয়। বিদ্যালয়, মক্তব, মাদ্রাসা, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় নেই যৌন নির্যাতন ??

ইন্টারনেটে যুগ অবাধ তথ্য প্রবাহ। শিশুদের হাতে হাতে মোবাইল। যৌনতার অবাধ ছড়াছড়ি। শিশুরা নতুন কিছু করতে, নতুন কিছু শিখতে আগ্রহী। গোপন কোন কিছুর প্রতি মানুষের কৌতুহল বেশী। শিশুর বেলায়তো আরো বেশী। তাই অসময়ে অপ্রাপ্ত বয়সেই শিশুরা যৌনতার দিকে বেশী আগ্রহী হয়ে উঠেছে। বর্তমানে সারাবিশ্বে সামাজিক অবক্ষয় দেখা দিয়েছে। এই অবাধ বিনোদন শিশুর সামাজিক অবক্ষয়ের পাশাপাশি মানবিক বিকাশ, মানসিক স্বাস্থ্যসহ নানা জঠিলতায় মধ্যদিয়ে অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে পৃথিবীতে অধিকাংশ শিশু।

শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সচেতনতা সৃষ্টির জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বছরে একাধিকবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নিজেদের মতো করে পালন করে জাতীয় শিশু দিবস। ১৯৯০ সালে তৎকালীন সরকার প্রধান হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদে স্বাক্ষর করেছিল। সেই থেকে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ বাস্তবায়নের জন্য নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। যদিও প্রয়োজনের তুলনায় যা অপ্রতুল।

আন্তর্জাতিকভাবে অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ পালন করা হয়। জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী ২০ নভেম্বর বিশ্ব শিশু দিবস পালন করা হয়। ১১ অক্টোবর সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস পালিত হয়। শিশুদের জন্য এরকম আরও কয়েকটি দিবস রয়েছে। এর বাইরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের গুরুত্বপূর্ণ কোনো দিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। তবে সব দেশেরই শিশু দিবস পালনের উদ্দেশ্য একটাই দেশের শিশুদের অধিকার ও তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সচেতনতার বার্তা দেয়া।

আজকের শিশুরাই আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দেবে, এ বাস্তবতাকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ সরকার শিশুদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিনোদন ও কল্যাণ নিশ্চিত করণে অনেক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। তারমধ্যে শিশুশ্রম নিরসন নীতি ২০১০, শিশু আইন ২০১৩ এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ প্রনয়ন করেছে।

পথ শিশুসহ ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশু, বিদ্যালয় থেকে ঝরেপড়া ও প্রতিবন্ধী শিশুদের কল্যাণে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সেবা ও ভাতা প্রদান, পথ শিশুদের পুনর্বাসনসহ তাদের জীবনমান উন্নত করতে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। শিশুর শিক্ষা ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে উপবৃত্তি, বছরের প্রথম দিনে বিনা মূল্যে পাঠ্য বই বিতরণ, স্কুলে মিড ডে মিল কর্মসূচি বাস্তবায়ন, শিশুর জন্য নিরাপদ পানি, বিদ্যালয়ে স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করণ। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সরকার হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল শিশুদের জন্য শিশু বিকাশ কেন্দ স্থাপন ও তাদের স্কুলমুখী করাসহ চা বাগান ও গার্মেন্ট কর্মীদের শিশুদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন। ডে-কেয়ার সেন্টারে শিশুদের লেখাপড়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। এতে নিম্ম আয়ের নারীরা সন্তানকে নিরাপদে রেখে নিশ্চিন্তে কাজ করার গ্যারান্টি পেয়েছিল।

বাংলাদেশে বিশাল সংখ্যক শিশুর ক্ষেত্রে জাতিসংঘের শিশু সনদে উল্লেখিত, শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশের উপযোগী পরিবেশ রক্ষা ও সৃষ্টি করা রাষ্ট্রের কর্তব্য হলেও বাস্তবে হচ্ছে উল্টোটা। অনেক শিশুরা এখনো খুব অবহেলিত একটা পরিবেশে বড় হচ্ছে। শিক্ষার হার তুলনামূলক বাড়লেও এখনো অনেক শিশুই তাদের প্রকৃত অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আছে শিশু শ্রমের মতো প্রকট কিছু সমস্যাও। শিশুর সমস্যাবলীর সমাধান করতে হবে। তাদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি অনেক এনজিও কাজ করলেও আসল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যেও দিকে কেউ নাই।

শিশুর নিরাপত্তা বিশেষ করে কন্যা শিশুর নিরাপত্তা সবার আগেই ভাবতে হবে। শিশুর আগামী দিনের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য অভিবাবক, পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্র কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে। পরিবার হলো শিশুর রাষ্ট্র আর অভিভাবক হলো সেই রাষ্ট্রের প্রধান। শিশুর জন্য পরিবারকেই পরিবেশ ও সমাজের সঙ্গে শিশুকে মিশতে শেখাবেন কীভাবে তার কয়েকটি বিষয় আপনি মনে করতে পারেন। শিশুর মধ্যে একজন মানুষের সকল গুণ তার ভেতর আছেই। শুধু তাকে অভিভাবক হিসাবে গাইড লাইন দিতে হবে কীভাবে আগামীর পথ চলা হবে।

শিশুর মধ্যে লুকিয়ে থাকে আগামীর সম্ভাবনা। সেই আগামীর জন্যই প্রয়োজন শিশুর সঠিক পরিচর্যা, সঠিক শিক্ষা। সেই শিক্ষার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল তার সামাজিক বোধ তৈরি করা। তাকে বাইরের পরিবেশের মানুষের সাথে মিশতে শেখানো। তার মূল্যবোধ গড়ে তোলা। ছোট থেকে ধীরে ধীরে সমাজের সঙ্গে তাকে পরিচয় করাতে হবে। এই কাজে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে অভিভাবকের।  কীভাবে শিশুর সমাজ সম্পর্কে বোধ তৈরি করতে পারেন তার কিছু নমুনা তুলে ধরা যায়। যেমন-

শিশুর বিকাশ: শিশুর বয়স যখন ১ বছর হয়, তখন সে বাবা, মা ছাড়াও বাড়ির মানুষদের চিনতে শেখে। ২ বছর হলে সে অন্যদের সঙ্গে খেলতেও পারে। কিন্তু তখনও তার জগৎ থাকে বাড়িতেই। তবে এর পর আস্ত আস্তে সে ক্রমশ পরিবেশ চিনতে শেখে। তিন থেকে চার বছরের শিশু অন্য শিশুদের সঙ্গে মিশতে শেখে, খেলতে শেখে। আরও একটু বড় হলে তার চেনার পরিসর বেড়ে যায়। শিশু কী চাইছে, কী বলতে চাইছে, অভিভাবককে বুঝতে হবে। বিভিন্ন ধরনের খেলার মধ্যে দিয়ে তার মানসিক বিকাশ ঘটে। যে ধরনের খেলায় তার বৌদ্ধিক বিকাশ হবে, সেই ধরনের খেলায় তাকে উৎসাহী করতে হবে।

সামাজিক বিকাশ: তিন-চার বছরের শিশু কথা বলতে শিখে যায়। এই বয়সে পার্কে তাকে খেলতে নিয়ে গেলে সে আর পাঁচটা শিশুর সঙ্গে খেলতে, কথা বলতে শিখবে। খেলা, রাগ, ঝগড়া, সব কিছুর মাধ্যমেই তার মধ্যে সমাজ, বন্ধু সম্পর্কে ক্রমশ ধারণা তৈরি হবে। কথা বলা, খেলা, অন্যের সঙ্গে মেশা, এসবের মধ্যে দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে তার মধ্যে সামাজিক সত্তার বিকাশ ঘটবে।
আবেগ নিয়ন্ত্রণের শিক্ষা: ছোটদের মধ্যে ঝগড়া-ভাব হবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যদি দেখা যায়, খেলায় হেরে গিয়ে সে কান্নাকাটি করছে আর খেলতে যেতে চাইছে না, তবে তাকে কিন্তু বোঝাতে হবে। খেলা মানে সেখানে হার-জিত দুটোই থাকবে। হার মানে ছেড়ে দেওয়া নয়, আবার খেললে সে জিতবে, সেই মনের জোর তাকে দিতে হবে।

শিশু কী করছে, কী ভাবে অন্যের সঙ্গে কথা বলছে, কেউ তাকে খারাপ কথা বলছে কি না, সে ব্যপারে অভিভাবককে নজর রাখা খুবই বাঞ্চনীয়। তবে সেটা দূর থেকে। শিশুদের মধ্যে যে ছেলেমানুষি ঝগড়া, অভিমান চলে, তার ভিতরে কিন্তু ঢুকতে যাবেন না। বরং খেয়াল করুন, আপনার সন্তান কী ভাবে সেই পরিস্থিতি সামলাচ্ছে। প্রয়োজনে তার পাশে থাকুন, তবে সিদ্ধান্ত শিশুকেই নিতে দিন।

নীতিকথা: শিশুকে গল্প শোনান। রূপকথা থেকে নীতিকথার গল্প। ছোট ছোট গল্প বলে তাকে বোঝান, এই গল্প থেকে কী শেখা যায়। এ ভাবেই খেলার ছলে সে ঠিক, ভুল, কোনটা করা উচিত, কোনটা নয়, বুঝতে শিখবে। এই শেখা তার ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য খুব জরুরি।

ভাগ করে নিতে শেখা: সমাজে চলতে গেলে সকলের সঙ্গে মিলেমিশে চলতে হয়। নিজের জিনিস বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে হয়। ছোট থেকে সেটা না শেখালে সন্তানের মধ্যে অজান্তেই স্বার্থপর মনোভাব তৈরি হতে পারে। কোনও কিছু ভাগ করে নিতে না চাইলে বকাবকি না করে বোঝার চেষ্টা করুন, সে কী বলছে? তার পর তাকে বুঝিয়ে বলুন।

আচরণ: কোন কথায় কাউকে ধন্যবাদ বলতে হয়, কোন কথায় দুঃখপ্রকাশ করতে হয়, শিশুরা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই শিক্ষাও দিতে হবে। বাইরে কোথাও সে খারাপ আচরণ করলে বকাবকি না করে তাকে বুঝিয়ে দিন, কোনটা ভুল, কোনটা ঠিক।

শিশুকে স্পর্শকাতর বিষয়ে ধারণা দিন: শিশু সাধারণত তার ব্যক্তিত্ব নিয়ে বাঁচতে চায়। তাদের ভেতর লজ্জাবোধটা খুবই বেশী। শিশুকে শিখিয়ে দিন কোনটা খারাপ টার্চ আর কোনটা ভাল টার্চ। শরীরের স্পর্শ কারত জায়গাগুলো সর্ম্পকে তাকে ধারণা দিন। তখন সে বুঝতে পারবে কে ভাল আর কে খারাপ লোক।

শিক্ষার জন্য পুরোপুরি শিক্ষককের উপর শিশুকে ছেড়ে দিবেন না। আজকাল শিক্ষক নামের কিছু পশুরও বিচরণ দেখা যায়। আপনি সব সময় আপনার শিশুর উপর দূর থেকে নজরদারী করুন। সে যেন বুঝতে না আপনি তার উপর নজরদারী করতেছেন। তার সবকিছু স্বাভাবিকভাবে মেনেনিন। অসঙ্গতি কিছু দেখলে তাকে তার কুফল সর্ম্পকে বুঝিয়ে বলুন। এতে তার পারিবারিক, সামাজিক কী কী ক্ষতি হতে পারে সে বিষয়ে ধারণা দিন।

আপনার শিশু কার সাথে কোথায় কোন সময়ে মিশছে সেটা খেয়াল করুন। তার আচরণ পরিলক্ষিত করুন। তাকে কোন না কোন কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখুন। সেটা বই পড়া হোক। কম্পিউটার হোক, খেলাধুলা হোক। যেকোন ভাল কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন।

তার সাথে সব সময় ভালো আচরণ করুন। তার ভালো গুণগুলো তুলে ধরুন। সব সময় ভালো প্রতিযোগীতায় উৎসাহিত করুন। ভুলেও তাকে টাকা প্রতিযোগীতায় টানবেন না। এতে ভালোর চেয়ে খারাপের দিকে বেশী যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

সর্বোপরি অভিভাবককে শিশুর সাথে বন্ধুর মতো মিশতে হবে। যাতে তার মনের সব কথা র্নিভয়ে সে অভিভাবককে বলতে পারে। যদি শিশু তার মনের কথা মা বাবাকে বলতে না পারে তাহলে সে কোথাও নির্যাতিত, নিপীড়িত বা প্রতারিত হলে কখনো তার মা বাবাকে বলবে না। প্রত্যেক মানুষ কথা বলার জন্য সঙ্গ চাই। সে জায়গাটা সব সময় অভিভাবককের খোলাসা রাখার দরকার।
যুদ্ধের কারণে অনেক শিশু মারা যাচ্ছে অনেক শিশু বিকালাঙ্গ হচ্ছে। বিশেষ করে ফিলিস্তিন এবং ইউক্রেনের শিশুদের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। এই অঞ্চলের শিশুদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করার জন্য জাতি সংঘকেই উদ্যোগ নিতে হবে।

শিশুর মনের উপর যদি শিশুকাল থেকেই একটা ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে বড় হয় তাহলে বিশ্ব তার কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করতে পারে না। পৃথিবীর সকল ভালো মানুষ পৃথিবীর জন্য বড় সম্পদ। সে সম্পদকে বিশ্বময় করতে হলে শিশুর জন্য একটি নিরাপদ সামাজিক বেষ্টনী তৈরী করে দিতে হবে। বেষ্টনীতে কোন জাতি ধর্ম বর্ণ থাকবে না। থাকেব না কোন ধনী গরীব, সাদা কালোর ভেদাভেদ। তাই নিরাপদ আগামীর বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য একটি নিরাপদ শিশু উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে সকলকেই।
লেখক: সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী।
ই-মেইল: lvlchkm885@gmail.com

Design & Developed by: BD IT HOST